আদম(আঃ) ও হাওয়া(আঃ) কে পৃথিবীতে প্রেরন
পৃথিবীতে পাঠিয়ে দিলেন তাঁদের। পৃথিবীতে এলেন হজরত আদম। এলেন হজরত হাওয়াও। পৃথিবীতে নামার পর একে অপরকে খুঁজে পেলেন না আদম-হাওয়া। হজরত আদম দেখলেন প্রিয়তমা স্ত্রী নেই তাঁর পাশে। হজরত হাওয়া দেখলেন প্রিয়তম স্বামী নেই তাঁর পাশে। বিষন্ন হয়ে গেলো আদম ও হাওয়ার মন। কেঁদে কেঁদে বুক ভাসালেন হজরত আদম। কেঁদে কেঁদে বুক ভাসালেন হজরত হাওয়া। প্রভুর দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন দুজনেই। ফিরে চাইলেন একে অপরকে। প্রার্থনা করলেন প্রভুর কাছে। দোয়ায় দোয়ায় কেটে গেলো অনেক দিন। প্রার্থনা প্রার্থনায় বিদায় নিলো অনেক রাত। তবু থামলেন না আদম। থামলেন না হাওয়া। অনেক কিছু বলে বলে ক্ষমা চাইলেন। অনেক কিছুর ওয়াদা করলেন কিন্তু কোনো কাজ হলো না।
একদিন আদম(আঃ) এর মনে পরলো আল্লাহ্ তার বন্ধুর নামে দোয়া পড়ার কথা, যা তার বিয়ের দেনমোহর হিসেবে আল্লাহ্ পড়তে বলেছিলেন। তখন তিনি হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) এর নামে দরূদ পাঠ করলেন। আল্লাহ্ তার এই দোয়া কবুল করলেন, এবং হযরত জিব্রাইল (আঃ) কে পাঠালেন আর বললেন যে আদম কে বল আমি তাকে ক্ষমা করেছি আমার বন্ধুর নামে দরূদ পাঠের কারনে। এখন যেন সে মক্কায় গিয়ে হজ্জ পালন করেন। হযরত জিব্রাইল (আঃ) গিয়ে আদম(আঃ) কে জানালেন, শুনে তিনি খুশি হয়ে সিজদায় লুটিয়ে পরলেন। রওনা করলেন মক্কার উদ্দেশ্যে।
আসমান থেকে বর্তমান শ্রীলঙ্কার সরন্দীপে নামানো হয়েছিলো হজরত আদম(আঃ) কে এবং বিবি হাওয়াকে নামানো হয়েছিলো জেদ্দায়। আদম(আঃ) মক্কায় গিয়ে দেখলেন হাজার হাজার ফেরেস্তা আল্লাহ্র ঘর তাওয়াফ করছে। তিনিও তাওয়াফ করলেন। এরপর তিনি তার স্ত্রীর জন্য দোয়া করলেন আল্লাহ্র কাছে। আল্লাহ্ তার দোয়া কবুল করলেন এবং বিবি হাওয়ার সঙ্গে মিলিত করলেন আরাফাতের ময়দানে। এরপর দুজনে একসাথে দুনিয়াতে সংসার শুরু করেন।
হযরত আদম (আঃ) এর মৃত্যু
হযরত আদম (আঃ) ১হাজার বছর বেচে ছিলেন। হযরত মুহাম্মাদ (সঃ) বলেন শুক্রবার হল সবথেকে উত্তম দিন। কারন এই দিনে হযরত আদম (আঃ) এর জন্ম ও এই দিনে তার মৃত্যু হয়। আবার এইদিনে পৃথিবী সৃষ্টি এবং কিয়ামত ও হবে এইদিনে। হযরত আদম (আঃ) এর মৃত্যুর ১ বছর পরেই হাওয়া(আঃ) এর মৃত্যু হয়।
0 Comments