এরপর, আমি কিছুদিন ধরে মেয়েটির স্কুলের সামনে মাঝে মাঝে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম। ওই সময়গুলোতে আমার মনে হতো, হয়তো একদিন সে আমাকে দেখবে, আর আমি কিছু বলব। কিন্তু আমি কিছুই বলতাম না, শুধু দাঁড়িয়ে থাকতাম। মনে হতো, আমি যেন কিছুটা কাছাকাছি আছি, যদিও কিছুই করতে পারছিলাম না।
ভাইয়া ইউনুস জানতো, কিন্তু কখনোই সরাসরি কিছু বলল না। শুধু বলেছিল, তুই কেন এখানে দাঁড়িয়ে থাকিস? যদি কিছু বলতে চাস, তোরা সরাসরি গিয়ে বলবি, নাকি শুধু দাঁড়িয়ে থাকবি? আমি জানতাম, ভাই ঠিক বলছে, কিন্তু আমি এতটাই শঙ্কিত ছিলাম যে কিছুই করতে পারলাম না।
একদিন শুনলাম, মেয়েটি তার পরিবারের কাছে গিয়ে বলেছে, সে আমাকে বিরক্ত করছে। তখন আমি সত্যিই বুঝতে পারলাম, আমার এসব অযাচিত পেছনে দাঁড়িয়ে থাকা তার জন্য অস্বস্তি হতে পারে। ভাই ইউনুস আমাকে বলল, মেয়ে যদি বিরক্ত হয়, তো সেটা বুঝে থামানো উচিত। আমি সেই দিন থেকেই শিখলাম, আর কখনো কাউকে তার অনিচ্ছায় বিরক্ত করতে নেই।
এখন আমি জানি, সোজাসুজি যদি কিছু বলার থাকে, তবে বলাই ভালো, নয়তো কাউকে অতিরিক্ত কষ্ট দিয়ে কিছু পাওয়ার চেষ্টা না করাই শ্রেয়।।
0 Comments